প্রশ্নঃ ০১
মাসিকের সময় কতটুকু ব্যাথা হলে তা স্বাভাবিক ?
All Topics in This Article
মেয়েদের শরীরের হরমোন ওঠানামা হয় এবং এই হরমোনের ওঠানামা মাসিকের সাথে সম্পর্কিত। প্রতিটি মেয়ের মাসে একবার ঋতুস্রাব হয়ে থাকে এবং ঋতুস্রাব বা মাসিকের সময় কিছু পরিমাণ ব্যথা হতে পারে। এই ব্যথা টা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু এই ব্যাপারটা কখন অস্বাভাবিক হয়? যখন বিশেষ করে মেয়েরা স্কুলে যাচ্ছে এবং যারা কলেজ ইউনিভার্সিটি পরছে তারা এই ব্যথার জন্য ক্লাস মিস করে অথবা তার যে স্বাভাবিক কর্মকান্ড আছে সেটা থেকে বিরত থাকে তাহলে আমরা বলে থাকি যে CBRNVIDES অথবা যেটা হচ্ছে সেটা একটু অস্বাভাবিক দেখা দিলে অবশ্যই সিনিয়র বিশেষজ্ঞের সাথে দেখা করতে হবে। কারণ যখন কোনো ব্যথা অথবা শারীরিক উপসর্গ স্বাভাবিকের থেকে একটু বেশি হয় অথবা তার দৈনন্দিন কাজগুলো কে Avoid করে তখন আমরা সেটাকে অস্বাভাবিক বলে থাকি এবং অবশ্যই তখন সিনিয়র বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে হবে।
প্রশ্নঃ ০২
স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ এক হলে
কি বাচ্চা নিতে কোন সমস্যা হয়?
অনেকে আছেন যাদের স্বামী স্ত্রী উভয়েই রক্তের গ্রুপ এক সে ক্ষেত্রে অনেকে টেনশনে থাকেন।একটা কথা মনে রাখবেন পৃথিবীতে কোটি কোটি মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ জন্ম নিচ্ছে কিন্তু আমাদের ব্লাড গ্রুপ আছে মাত্র চারটি সুতরাং স্বামী স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ এক হওয়াই স্বাভাবিক। স্বামী স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ যদি এক হয় তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই। কারণ এই ব্লাড গ্রুপের জন্য বাচ্চার কোন সমস্যা হবে না।
প্রশ্নঃ ০৩
মেয়েদের যৌনাঙ্গে চুলকানি কেন হয় ?
কিছু কিছু মেয়েদের কমন কিছু সমস্যা থাকে যেমন তাদের যৌন অঙ্গের মাসিকের রাস্তার চারপাশে চুলকানি। এই চুলকানির অবশ্যই একটা অসুক অথবা অন্য কোন সমস্যা উপসর্গ। তবে এই চুলকানির দুটি কারণে হতে পারে। একটি হচ্ছে স্বাভাবিক কারণ যেমন কেউ যদি একটু স্যাতসেতে অপরিষ্কার থাকেন। অথবা ওই জায়গাটা যেহেতু সবসময় কাপড় দিয়ে ঢাকা থাকে একটু স্যাতসেতে থাকে স্বাভাবিকভাবে কিছু ফাংগাস থাকে ফাঙ্গাসের কারণেও চুলকানি হতে পারে। আবার অনেক সময় এটা অস্বাভাবিক হতে থাকে যেমন যারা পিল খেয়ে থাকেন অথবা যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের অনেক সময় এ ধরনের চুলকানি দেখা যায়। তো এই চুলকানি গুলো হয়ে থাকে সাধারণত তার রোগের জন্য। তাহলে আমরা দেখতে পাচ্ছি কিছু হতে পারে স্বাভাবিক এর জন্য। আবার কিছু হতে পারে অপরিষ্কার থাকার জন্য। আবার কিছু হতে পারে রোগের উপসর্গের কারণে। যদি কারোর গোপনাঙ্গে চুলকানি হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই তাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এইজন্য যে তার যদি ডায়াবেটিস বা অন্য কোন রোগ থেকে থাকে তার চিকিৎসা নিতে হবে।
প্রশ্নঃ ০৪
অবিবাহিত মেয়েদেরও কি
জরায়ুতে ক্যান্সার হতে পারে ?
জরায়ু ক্যান্সার একটি ভয়াবহ রোগ।জরায়ু ক্যান্সার যাদের হয়ে থাকে অনেক সময় আমরা বলে থাকি যে যৌন আকারের কোন সম্পর্ক আছে। যেমন এই জরায়ু ক্যান্সার যাদের হয় আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখে থাকি যে বিবাহিত মেয়েদের। অবিবাহিত মেয়েদের জরায়ু ক্যান্সার অস্বাভাবিক এবং এটা হওয়ার কথা না যদি না সেই মেয়ে যৌনসঙ্গী থেকে থাকে। সুতরাং বিবাহিত মেয়েদের হবে নাকি অবিবাহিত মেয়েদের হবে এটা বলা খুবই কঠিন। আমরা যদি এভাবে না বলি ওইভাবে বলি যে জরায়ু ক্যান্সার ঠিক তাদেরই হবে যাদের যৌনসঙ্গী আছে। অথবা বিবাহিত তার সাথে অবশ্যই কিছু ইন্সপেক্টর আছে সবার হয়না। কিছু কিছু মেয়েরা ঘন ঘন বাচ্চা নিয়ে থাকেন তার জরায়ু ক্যান্সার হওয়ার জন্য ঝুঁকিতে থাকে। যারা আছে আমরা সাধারণত বলে থাকি যে মেয়েদের সাধারণত বাল্যবিবাহ হয় সেই সমস্ত মেয়েরা খুব কম বয়সে যৌন মিলেনে যান। যাদের অনেকগুলো বাচ্চা হয়। যাদের পরিবারের হিস্ট্রি থাকে যেমন তাদের পরিবারে কারও থাকলে তারও হতে পারে। যাদের একাধিক যৌনসঙ্গী আছে বিশেষ করে East infection যেটা বলে থাকা হয় সে infection আছে এছাড়া আরো কিছু ব্যাপার আছে Socialfactor আছে খুব ঘনঘন বাচ্চা হওয়া।আর যে ছেলের প্রথম স্ত্রী জরায়ু ক্যান্সারে মারা যায় তাহলে তার দ্বিতীয় স্ত্রী ও জরায়ু ক্যান্সার হওয়ার ঝুকিতে থাকেন।অথবা যারা নিয়মিত চেকআপ করে না তাদেরও কিন্তু জরায়ু ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
প্রশ্নঃ ০৫
কিভাবে বুঝবেন যে
আপনি গর্ভবতী কি না ?
একজন মেয়ে কখন বুঝবে সে গর্ভবতী। একটা মেয়ের স্বাভাবিক নিয়মে প্রতি মাসেই তার মাসিক হওয়ার হয়ে থাকে। যার নিয়মিত মাসিক হয় তার জন্য এটা বুঝা খুবই সহজ যে গর্ভবতী হয়েছে কিনা। কিন্তু যার অনিয়মিত মাসিক তার জন্য এটা বোঝা খুবই কঠিন। যাদের নিয়মিত মাসিক হচ্ছে তারা যখন তাদের নির্ধারিত তারিখ থাকেন মাসিক হওয়ার জন্য সেই মাসিকের সেই নির্ধারিত তারিখটি মিস করে অথবা সাত দিন পার হয়ে যায় তখনই তাকে চিন্তা করতে হবে সে গর্ভবতী কিনা। আর যাদের অনিয়মিত মাসিক তাদের একটু বোঝা কঠিন হয়ে যায়। তবুও অনেক সময় প্রেগনেন্সি অথবা গর্ভবতী হলে কিছু কিছু উপসর্গ দেখা যায় যেমন সকালে উঠে ভালো লাগেনা, বমি হয়, শরীর ক্লান্তি লাগে, যখন তখন ঘুম পায় এ ধরনের যদি কোন উপসর্গ হয়ে থাকে যাদের অনিয়মিত মাসিক তাদের অবশ্যই তৎক্ষণাৎ প্রেগনেন্সি টেস্ট করার জন্য ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।
Source:
আলোচনা করেছেনঃ প্রফেসর ডাঃ সেলিনা আক্তার
স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিশেষজ্ঞ
শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ
গাইনী কনসালট্যান্ট, ইউনাইটেড হাসপাতাল গুলশান-২ শাখা
এবং প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট বানানী শাখা।