স্বপ্নদোষ কেন হয় ? স্বপ্নদোষ বন্ধ করার উপায় কি? স্বপ্নদোষের উপকারিতা
আজ আমরা যে টপিকটা নিয়ে আলোচনা করব সেটা হচ্ছে স্বপ্নদোষ।
স্বপ্নদোষ কে ইংরেজিতে বলা হয় NIGHT FALL/ WET DREAM।স্বপ্নদোষ নিয়ে আমাদের চারপাশের যতগুলো ভুল ধারণা আছে সেগুলো আজকের আলোচনায় বদলে দিব।তো সর্বপ্রথম আলোচনা করবো স্বপ্নদোষ কি?এটি কেন হয়?হস্তমৈথুনের সাথে স্বপ্নদোষ এর সম্পর্ক আছে?এটা মাসে কতবার হলে শরীরে ক্ষতি কারণ হয়ে দাঁড়ায়?এবং এর থেকে বাচার উপায় কি?আজকে এসব সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।আর সবশেষে স্বপ্নদোষের কিছু তথ্য বলব যা আপনাদের একেবারেই অজানা।
(চলুন জেনে নেওয়া যাক)।
সহজভাবে বলতে গেলে আপনি রাতে ঘুমিয়ে যাওয়ার পর,যখন আপনি উল্টোপাল্টা স্বপ্ন দেখেন অভিজ্ঞতা লাভ করেন।কারণ ঘুমানোর সময় আপনার দেহ আপনার কন্ট্রোলে থাকে না।এর থেকে আপনার শরীর স্থিতি সিমেন্ট বের করতে থাকে।আর যখন আপনি ঘুম থেকে ওঠেন তখন আপনার প্যান্টে একটা দাগ দেখতে পান।আর তখন আপনি মনে করেন আপনার কোন রোগ হয়েছে।আসলে এমন কিছুই না।সবার প্রথমে বলবো এটা কেন হয়?
সাধারণত 13 থেকে 19 বছরের ছেলেদের এমনটি হয়।একজন পুরুষ প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার প্রাথমিক বয়স গুলোতে এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হওয়ার খুবই সাধারণ ব্যাপার।তবে বয়সন্ধিকাল কেটে যাওয়ার পরেও কারো কারো স্বপ্নদোষ হতে পারে।তার সাথে যৌন উত্তেজক সম্পর্ক থাকতে পারে,আবার নাও থাকতে পারে।যুক্তরাষ্ট্রে এক গবেষণায় দেখা যায় প্রায় 83% পুরুষ জীবনে কোনো না কোনো সময় স্বপ্নদোষের অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন।স্বপ্নদোষ নারীদের ক্ষেত্রেও হতে পারে।তবে তার মাত্রা পুরুষদের তুলনায় অনেক কম।বয়সন্ধিকালে তারা নতুনভাবে স্বপ্নদোষের অভিজ্ঞতা লাভ করেন,তারা অনেকেই এটি স্বাভাবিকভাবেই গ্রহণ করতে পারে না।সেইসাথে আতঙ্ক এবং হীনমন্যতায় ,ভোগ করেন।বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্বপ্নদোষের পরিমান ধীরে ধীরে কমে যেতে থাকে।
এছাড়াও স্বপ্নদোষ নানা কারণে হতে পারে।
যেমনঃ
১। বয়সন্ধিকালে হরমোনের আধিক্যের জন্য।
২। স্বাভাবিকের থেকে খারাপ বিষয় চিন্তা করা।
৩। নীল ছবিতে আসক্ত হওয়া।
৪। খারাপ কুতিবা বই পড়া।
৫। ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে খারাপ বিষয় চিন্তা করো বা দেখা।
বয়সন্ধিকালে কারো কারো স্বপ্নদোষ নাও হতে পারে! এতে এটা প্রমাণ করে না যে তার সমস্যা আছে!আবার নিয়মিত হস্তমৈথুনের কারণে স্বপ্নদোষ হ্রাস পায়।স্বপ্নদোষের সাথে সব সময় স্বপ্নে সম্পর্ক নাও থাকতে পারে।যেহেতু স্বাভাবিক স্বপ্নদোষ কোন সমস্যা নয় তাই এর কোন চিকিৎসা নেই।তবে অস্বাভাবিক বা অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হলে চিন্তার বিষয়!এই ক্ষেত্রে পুরুষের নিয়মিত স্বপ্নদোষের ক্ষেত্রে শারীরিক এবং মানসিক ক্ষতি হতে পারে।
যেমনঃ শুক্রাণুর পরিমাণ কমে যাওয়া,শারীরিক দুর্বলতা বৃদ্ধি,অতিরিক্ত ঘুম ঘুম ভাব, হাটু এবং অন্যান্য জোড়ার ব্যাথা।একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে কিশোর বয়সে শরীর বিক্রি ও হরমোন পরিবর্তনের কারণে এই সমস্যাটি বেশি হয় 13 থেকে 19 বছর বয়সের ছেলেদের এবং প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার প্রাথমিক বছরগুলোতে স্বপ্নদোষ খুব সাধারণ।তবে মাসে 3 থেকে 4 বার স্বপ্নদোষ হওয়া কোন স্বাভাবিক লক্ষণ নয়।এখন কথা বলব আপনি সারাদিনে কি করবেন যার জন্য স্বপ্নদোষ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।কিছু নিয়ম আছে সেগুলো মেনে চললে স্বপ্নদোষ থেকে চিরতরে পরিত্রান পাওয়া সম্ভব।
চলুন তাহলে বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নিই।
Number 01.ঘুমাতে যাওয়ার আগে মূত্র ত্যাগ করে নিন।যদিও এটি স্বপ্নদোষের চিকিৎসা নয় তবে এটি স্বপ্নদোষের চাপকমাতে শরীরকে সহযোগিতা করে।
Number 02.ঘুমাতে যাওয়ার আগে এককাপ তুলসী পাতার চা খেলে অতিরিক্ত হস্তমৈথুন জনিত স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
Number 03.অশ্বগন্ধা। অশ্বগন্ধা হলো এক ধরনের বিশ্বযুদ্ধে যেটা স্বপ্নদোষের সৃষ্টি সমস্যা উপকার সহ সর্বপোরী যৌন স্বাস্থ্য শুদ্ধি, হরমোন ব্যালেন্স, এবং হস্তমৈথুনের ফলে, দুর্বল হয়ে যাওয়া পেশীশক্তি ফিরে পাওয়া, ভিতরগত ছোট-খাট ইনজুরি সারিয়ে তোলা। এটি সেবনের নিয়ম হল এক গ্লাস পানিতে 1 চা চামচের চার ভাগের এক ভাগ অশ্বগন্ধা গুড়া 2-3 ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে খেতে হবে।ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে হবে।
Number 04.ঘুমানোর সময় উপুর হয়ে ঘুমাবেন না।যদি আপনার স্বপ্নদোষ হয়ে থাকে এটার অন্যতম কারণ হতে পারে উপুর হয়ে ঘুমানোর জন্য।এই ক্ষেত্রে সব সময় চিত বা কাত হয়ে শোয়া উচিত।
Number 05.রাতে খাবার খাওয়ার পর-পরই ঘুমাতে যাবেন না।কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন এবং ঘুমানোর আগে অতিরিক্ত পানি পান করবেন না।
Number 06.অশীল কনটিং থেকে দূরে থাকুন।এবং খারাপ ছবি বা ভিডিও থেকে দূরে থাকুন।
এই কয়টি বিষয় মেনে চললে কথা দিচ্ছি আপনি স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তি পেতে পারবেন। স্বপ্নদোষ একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।এটি কোন শারীরিক সমস্যা নয় এটি প্রযোজনা জিবি হিসেবে মানব প্রজাতি স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠা একটি অংশ।আপনি হস্তমৈথুন করেন বা সহবাস করেন বা না করেন আপনার দেহ প্রাকৃতিক ভাবে সিমেন্ট তৈরি করবিই,আর এটা বের হবেই।মেডিকেলের ভাষায় স্বপ্নদোষ কোনো দোষ নয়।আর মৈথুন করার সঙ্গে স্বপ্নদোষের কোন সম্পর্কই নেই। গোপনাঙ্গ স্পর্শ না করলেও এটি হতে পারে।